উমরের যুগের একজন মহিলা কবি
একজন মহিলা কবি
ঘটনা: ২ [একজন মহিলা কবি]
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. প্রজাদরদি শাসক। তাঁর অভ্যাস ছিলো; রাতের বেলায় জনপদে ঘুরে ঘুরে প্রজাদের খোঁজ-খবর নেয়া। অভ্যাস অনুযায়ী তিনি এক রাতে বের হলেন এবং মদিনার অদূরে একটি ঝুপড়িতে গেলেন। দূর থেকে দেখলেন নিভু নিভু একটি প্রদীপ জ্বলছে। তিনি কাছে গেলেন। গিয়ে দেখেন আলো-অন্ধকারে বসে
Enter
Tuhin
আছেন এক বৃদ্ধা নারী। পরনে কালো কাপড়। সে ব্যথিত মনে গাইছে-
على محمد صلاة الابرار : صلى عليك المصطفون الاخيار
قد كنت قواما بكى الاسحار : يا ليت شعري والمنايا اطوار
هل تجمعی و حبيبي الدار
অর্থ: মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নেক লোকদের পক্ষ থেকে দরূদ প্রেরিত হোক। নেক মানুষগণই তোমার উপর দরূদ প্রেরণ করেছে। নিশ্চয় তুমি ছিলে হকের পাহারাদার এবং রাত্রিকালের বাক্কার ক্রন্দনকারী)। হায়। যদি আমার জানা থাকতো, আল্লাহর ফয়সালা অটল ও অটুট। তোমরা কি আমাকে ও আমার হাবীকে এই ঘরে একত্রিত করে দিবে?
বৃদ্ধার হৃদয়ের উত্তাপ দিয়ে আবৃত্তি করা এ কবিতা হযরত ওমর রাযি. এর হৃদয়ে রেখাপাত করলো। হৃদয়ের আয়নায় ভেসে উঠলো অতীত স্মৃতি। দু'চোখ বেয়ে ঝরতে লাগলো অশ্রু মানিক। সাথে সাথে তিনি বৃদ্ধার দরজায় শব্দ করলেন। বৃদ্ধা জিজ্ঞেস করলো, তুমি কে? হযরত ওমর রাযি, ভাঙ্গা গলায় বললেন, আমি ওমর ইবনুল খাত্তাব। বৃদ্ধা বললেন, আমার নিকট ওমরের কি দরকার? ওমর এখন কি জন্য এসেছে? হযরত ওমর রাযি. বললেন, বুড়ি মা! তুমি দরজা খোলো। কোনো ভয় নেই। আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন।
বৃদ্ধা দরজা খোললেন। হযরত ওমর রাযি. ভিতরে প্রবেশ করলেন। বুড়িকে বললেন, তুমি এতক্ষণ যে কবিতা পাঠ করছিলে, তা আবার আবৃত্তি করো। বৃদ্ধা দ্বিতীয়বার কবিতাগুলো বললো। হযরত ওমর রাযি. আবেদন করলেন, বুড়ি মা! আমাকেও তোমাদের সাথে শরিক করে নাও। বৃদ্ধা বললো- عمر فاغفر له يا غفار, এবং হে গাফফার! (গুনাহ মাফকারী। ওমরকে ক্ষমা করো।। হযরত ওমর রাযি. খুশি হয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন। -মুনতাখাবু কানজিল উম্মাল: ৪/৩৮১
No comments