উমরের যুগের একজন ক্ষুধার্ত শিশু ঘটনা
একজন ক্ষুধার্ত শিশু।
ঘটনা : ৩ [একজন ক্ষুধার্ত শিশু।
বনু নাজ্জারের কিছু লোক মদিনা মুনাওয়ারায় এসে হাঙ্গামা শুরু করলো। চতুর্দিকে শুধু শোরগোল শুরু হলো। হযরত ওমর রাখি, হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাযি. কে বললেন, চলো, আমরা আজ রাত্রে পাহারাদারী করে মানুষকে চুরি-ডাকাতি থেকে বাঁচাবো।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁরা দু'জন রাতের বেলায় পাহারায় লেগে গেলেন। পাহারাদারী করলেন এবং দু'জনে নামাজ আদায় করলেন। তখন হযরত ওমর রাযি. একজন শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি আওয়াজ লক্ষ্য করে হেঁটে সে ঘরের নিকটে গিয়ে উপস্থিত হলেন। গিয়ে দেখেন মা শিশুকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি শিশুর মাকে ডাক দিয়ে বললেন, আল্লাহকে ভয় করো, বাচ্চার প্রতি খেয়াল করো। একথা বলে তিনি চলে আসলেন আপন জায়গায়।
কিছুক্ষণ পর পুনরায় শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনলেন। তিনি আবার গিয়ে শিশুর মাকে আগের মতো বুঝিয়ে চলে আসলেন। শেষ রাত্রে শিশুটি আবার কেঁদে উঠলো। হযরত ওমর রাযি. তৃতীয়বার সেখানে গেলেন। শিশুর মাকে ধমক দিয়ে বললেন, তোমার ধ্বংস হোক, মনে হয় তুমি একজন খারাপ মা। তোমার শিশুটি আজ সারা রাত অস্থিরতায় কাঁটিয়েছে। শিশুটির মা ক্ষুধার্ত ও পেরেশানী অবস্থায় জবাব দিলেন, হে আল্লাহর বান্দা! আপনি আজ রাতে আমাকে বিরক্ত করলেন। আমি মূলতঃ শিশুর দূধ ছাড়ানোর অনুশীলন করছিলাম। এ কারণে শিশুটি কাঁদছিলো।
হযরত ওমর রাযি. জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি এমন করছিলে কেন? মহিলা বললো, ওমর রাযি. দুধের শিশুর ভাতা নির্ধারণ করেননি। তাই দ্রুত শিশুর দুধ ছাড়ানোর চেষ্টা করছি। ওমর রাযি. বললেন, শিশুর বয়স কত? মহিলা উত্তর দিল এত মাস। ওমর রাযি. বললেন, তোমার ধ্বংস হোক! তুমি এত তাড়াতাড়ি শিশুর দুধ বন্ধ করো না। একথা বলে তিনি চলে আসলেন।
Enter
Tuhin
ফজরের নামাজের সময় হলে তিনি নামাজ আদায় করলেন। নামাজে তার কেরাতে মুসল্লিগণ আবেগাপ্লুত হলো। সালাম ফিরিয়ে তিনি মানুষকে বললেন, ওমরের অভাব নেই, সুতরাং মুসলমানদের শিশু মরবে কেন? শুনে রাখো, এখন থেকে মুসলমানের ঘরে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকেই তার জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা বরাদ্দ করলাম। সকল এলাকায় এ সংবাদ ছড়িয়ে দিবে। -তাবাকাতে ইবনে সা'আদ: ৩/৩০১
No comments