রাসূলুল্লাহ সা: এর ঘুমানোর সুন্নাতসমূহ
[১] নিম্নবর্ণিত জিনিসগুলোর উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসতেন ও ঘুমাতেন। যথা- [ক] খেজুর পাতার তৈরী মাদুর: [খ] চাটাই; [গ] কাপড়ের বিছানা: [ঘ] মাটি: [৬] চৌকি; [চ] চামড়া।'
[২] অজু অবস্থায় ঘুমানো সুন্নাত।
(৩) শোয়ার পূর্বে কাপড় দ্বারা বিছানা ছেড়ে নেয়া সুন্নাত।"
[৪] শোয়ার পূর্বে কাপড় পরিবর্তন করা সুন্নাত।"
[৫] শোয়ার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলে নিম্নের কাজগুলো করা সুন্নাত। যথা- [ক] ঘরের দরজা বন্ধ করা; [খ] বাতি নিভিয়ে দেয়া; (গ) খাবারের পাত্র ঢেকে রাখা; [ঘ] ঢাকার জন্য কোনো জিনিস না পেলে বিসমিল্লাহ বলে পাত্রের মুখে একটি কাঠি রেখে দিলেও সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।'
[৬] এশার নামাযের পর অযথা গল্প-গুজব করা নিষেধ। তবে ওয়াজ-নসীহত, কিতাব অধ্যায়ন ইত্যাদির জন্য জাগ্রত থাকাতে কোনো অসুবিধা নেই।
[৭] শোয়ার পূর্বে তিনবার করে চোখে সুরমা দেয়া সুন্নাত।"
[৮] ঘুমানোর পূর্বে কমপক্ষে কুরআনের ১০টি আয়াত তেলাওয়াত করা। এতে পূর্ণ রাত্র ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যাবে।
[৯] যে ব্যক্তি শোয়ার সময় 'আয়াতুল কুরসী' পাঠ করবে তার হেফাজতের জন্য
আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করা হয়, যে তাকে সকাল
পর্যন্ত শয়তান থেকে হেফাজতে রাখে।'
১. যাদুল মা'আন
২. যাদুল মা'আদ
৩. তিরমিযী শরীফ। খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-১৭৭
৪. যাদুল মা'আদ
৫. তিরমিযী শরীফ। খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৩
৬. বুখারী ও মুসলিম শরীফ
৭. সহীহ বুখারী। হাদীস-২৩১১, ৩২৭৫ ও ৫০০৮
ফাতেমা রাখি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একজন খাদেমের আবেদন করলে তিনি বলেছিলেন, শোয়ার পূর্বে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়বে। তাহলে তোমার সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে এবং এটা খাদেম অপেক্ষা অনেক উত্তম।
(১১) ঘুমানোর সময় ডান পার্শ্বে কেবলামুখী হয়ে ঘুমানো। উপুড় হয়ে অর্থাৎ বুক নিচের দিকে দিয়ে ঘুমানো ঠিক নয়। এতে ডাক্তারী মতে কিডনীর সমস্যা হয়।
(১২) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমাতে গেলে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়তেন। উভয় হাতকে একত্রিত করে ফুঁ দিতেন এবং হাওয়া সমস্ত শরীরে যতদূর সম্ভব বুলিয়ে নিতেন। এভাবে তিনবার করতেন।"
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত এ আমল করতেন। এ আমলের উসিলায় অনেক ক্ষতি থেকে হেফাজত থাকা যায়।
(১৩) হযরত হুযায়ফা রাযি. থেকে বর্ণিত, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমাত যেতেন, তখন ডান হাত মাথার ডান পার্শ্বের নিচে রেখে নিম্নবর্ণিত দু'আ পাঠ করতেন اللَّهُمَّ بِأَسْيَا أَمُوتُ وَآخی হে আল্লাহ! আমি আপনার নামে মরি এবং জীবিত থাকি।"
অথবা নিম্নের দু'আ পাঠ করতেন-
باشیان رب وضعت جنين وبان أرفعه إن أمسكت لفين فَاغْفِرْ لَهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا
با لحفظ به عبادة الصلحين
অর্থ- হে আল্লাহ! আপনারই নামে আমার পার্শ্ব রাখলাম এবং আপনারই নামে তা উঠাব। যদি আপনি আমার আত্মাকে রেখে দেন, তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেন। আর যদি তাকে ছেড়ে দেন, তাহলে তাকে রক্ষা করেন যা দ্বারা আপনি রক্ষা করেন
আপনার নেক বান্দাদেরকে। ১২
[১৪] তারপর [৩ বার] এস্তেগফার পড়া।"
ফযীলতঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি, বলেন- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যখন কেউ শুতে যায় তখন যদি সে এ ইস্তেগফার তিনবার পাঠ করে, তাহলে তার গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে যদিও তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনার সমান হয়, বা বালু কণা সংখ্যার সমান হয় বা গাছের পাতার সংখ্যা পরিমাণ হয়। ১৯
৮. মুসলিম শরীফ। হাদীস-২০৯২ ৫ ২৭২৮
৯ দুখারী শরীফ
১০. বুখারী শরীফ। হাদীস-৫০১৭
১১. বুখারী শরীফ। হাদীস-৬৩১২, ৫৮-৩৭
১২. বুখারী শরীফ হাদীস- ৭০৯৩, ৫৮৪৫
১৫. মুতনাথে আহমাদ। হাদীস-১০৬৫২
এক মুসনাদে আহমাদ। হারীস-১০৬৫২
অর্থ- আমি আল্লাহ তা'আলার কাছে মাফ চাচ্ছি, যিনি ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই,
তিনি চিরঞ্জিব ও চিরস্থায়ী এবং আমি তাঁর কাছে তওবা করছি।
(১৫) খারাপ কোনো স্বপ্ন দেখলে ঘুম ভাঙার সাথে সাথে তিনটি কাজ করতে হবে। যথা- [ক] আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির বজীম পড়তে হয়। [খ] বাম দিকে তিনবার ঘুঘু ফেলতে হয়। [গ] পার্শ্ব পরিবর্তন করে শুয়ে পড়তে হয়।
(১৬) দুপুরে একটু শোয়া করা সুন্নাত। দুপুরের খাবারের সাথে এ ঘুম।বা কায়লুলা। এর কোনো সম্পর্ক নেই।
(১৭) শোয়ার সময় নিম্নের দু'আ (৩ বার] পড়া সুন্নাত।
(১৮) সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করা।
হযরত আলকামা রাখি, বলেছেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতের (বা ঘুমানোর) সময় পড়বে এটা তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।"
امنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا تُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ، وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ لَا يُحمد الله نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا الكَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِلُنَا إِن لَّيْنَا أَو الحَمانَا رَبَّنَا لا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلنَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكُفْرِينَ
[১৯] অন্তর ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাজতের দু'আ নিম্নোক্ত দু'আটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযি.কে
সকাল-সন্ধ্যা ও ঘুমানোর সময় পড়তে বলেছেন- السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَ مَلِيْكَهُ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا
اللَّهُمَّ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ أَنتَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِينَ وَشَرِّ الشَّطْيَانِ وَشِرْكِهِ.
অর্থ- হে আল্লাহ। হে অদৃশ্য ও দৃশ্যের জ্ঞতা। আসমান ও জমীনের স্রষ্টা, প্রত্যেক জিনিসের প্রতিপালক ও মালিক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতীত কোনো মা'বুদ নেই, আমি আপনার আশ্রয় চাই, আমার মনের অনিষ্ট, শয়তানের অনিষ্ট এবং তার শিরক থেকে।"
রায়হাকী শরীফ। হাদীস-৪৫৬৯, মুসনাদে আহমাদ। হাদীস-২১৫৪৭
খোরী শরীফ
রদ্বিয়ী শরীফ। হাদীস-৩৩৯৯, ৩৩২১, মুসনাদে আহমাদ। হাদীস-১৭৮১৯
বোরী শরীফ। হাদীস-৪০০৮,৪৬৬৩
নামিয়ী শরীফ হাদীস-৩৩৯2
استغفر الله الذين لا إله إلا هو الحي القيوم و اتوب اليه অর্থ-
আমি আল্লাহ তা'আলার কাছে মাফ চাচ্ছি, যিনি ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই,
তিনি চিরঞ্জিব ও চিরস্থায়ী এবং আমি তাঁর কাছে তওবা করছি।
(১৫) খারাপ কোনো স্বপ্ন দেখলে ঘুম ভাঙার সাথে সাথে তিনটি কাজ করতে হবে। যথা- [ক] আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির বজীম পড়তে হয়। [খ] বাম দিকে তিনবার ঘুঘু ফেলতে হয়। [গ] পার্শ্ব পরিবর্তন করে শুয়ে পড়তে হয়।
(১৬) দুপুরে একটু শোয়া করা সুন্নাত। দুপুরের খাবারের সাথে এ ঘুম।বা কায়লুলা। এর কোনো সম্পর্ক নেই।
(১৭) শোয়ার সময় নিম্নের দু'আ (৩ বার] পড়া সুন্নাত।
(১৮) সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করা।
হযরত আলকামা রাখি, বলেছেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতের (বা ঘুমানোর) সময় পড়বে এটা তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।"
امنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا تُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ، وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ لَا يُحمد الله نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا الكَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِلُنَا إِن لَّيْنَا أَو الحَمانَا رَبَّنَا لا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلنَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكُفْرِينَ
[১৯] অন্তর ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাজতের দু'আ নিম্নোক্ত দু'আটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযি.কে
সকাল-সন্ধ্যা ও ঘুমানোর সময় পড়তে বলেছেন- السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَ مَلِيْكَهُ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا
اللَّهُمَّ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ أَنتَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِينَ وَشَرِّ الشَّطْيَانِ وَشِرْكِهِ.
অর্থ- হে আল্লাহ। হে অদৃশ্য ও দৃশ্যের জ্ঞতা। আসমান ও জমীনের স্রষ্টা, প্রত্যেক জিনিসের প্রতিপালক ও মালিক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতীত কোনো মা'বুদ নেই, আমি আপনার আশ্রয় চাই, আমার মনের অনিষ্ট, শয়তানের অনিষ্ট এবং তার শিরক থেকে।"
রায়হাকী শরীফ। হাদীস-৪৫৬৯, মুসনাদে আহমাদ। হাদীস-২১৫৪৭
খোরী শরীফ
রদ্বিয়ী শরীফ। হাদীস-৩৩৯৯, ৩৩২১, মুসনাদে আহমাদ। হাদীস-১৭৮১৯
বোখোরী শরীফ। হাদীস-৪০০৮,৪৬৬৩
No comments