রোযা অবস্থায় মেসওয়াক করা
রোযা অবস্থায় মেসওয়াক করা
মাসআলাঃ রোযা অবস্থায় মেসওয়াক করা জায়েয। এতে রোযার কোন ক্ষতি নেই। তবে মেসওয়াকের আঁশ যদি গলার ভিতর চলে যায় এবং তা 'চনাবুটের' চেয়ে বেশি হয়, তাহলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। আর 'চনাবুট' থেকে ছোট হলে কোন অসুবিধা নেই।
আশ্চর্য ঘটনা-১
একবার সাহাবায়ে কেরাম রাখি, কোন এক যুদ্ধে গেলেন। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সাহাবায়ে কেরাম রাখি, গাছের ডাল ভেঙ্গে মেসওয়াক করছিলেন। শত্রুপক্ষের গুপ্তচর যখন দেখল যে, মুসলমানরা গাছের ডাল ভেঙ্গে চাবাচ্ছে তখন তারা গিয়ে বললো- তোমরা এ সকল মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করতে পারবে না। যারা গাছ-পালা পর্যন্ত চিবিয়ে খেয়ে ফেলে। একথা জানতে পেরে শত্রু সেনাদল যুদ্ধ না করেই শহর ছেড়ে পলায়ন করল। আর মুসলমানগণ বিনা যুদ্ধেই শহর বিজয় করল। এটা শুধুমাত্র নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি সুন্নতের উপর আমল করার সুফল।
হে মুসলমান। দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবী শুধুমাত্র নবীর তরীকার। তাই এসো বিদ'আত ছেড়ে দিয়ে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের উপর আমল করি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এ ধরনের একটি ঘটনা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ.- এর সাথেও ঘটেছিল।
আশ্চর্য ঘটনা-২
৬৬৫ হিজরী সনের ঘটনা। যা আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে। আবু সালাম নামে বসরার (ইরাকের এক অধিবাসী ছিলো। সে অত্যন্ত অহংকারী ও নির্লজ্জ হিসাবে পরিচিত ছিল। একবার তার সামনে মেসওয়াকের গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে আলোচনা করা হলে সে অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে বলতে লাগল- এসব অনর্থক কথাবার্তা। সে শপথ করে বলে আমি আমার নিতম্বেই
Enter
Adrian
মেসওয়াক করব- (নাউযুবিল্লাহ)। তারপর সে নিজ নিতম্বে ঘষে তার শপথ পূর্ণ করলো। সুন্নাতে নববীর সাথে এ ধরনের চরম বেয়াদবীর কারণে কুদরতী ভাবে কিছুদিন পর তার পেট ব্যাথা শুরু হলো। অনেক চিকিৎসার পরও তার রোগের কোনো উপশম হলো না। পরিশেষে সে অস্থির ও পাগলের ন্যায় আচরণ করতে থাকে। কিছুদিন পর তার পেট থেকে ইদুরের ন্যায় এক জানোয়ার জন্ম নেয়। তার চার পা ও লেজ ছিলো, আর তার মুখটি ছিলো মাছের মতো। প্রাণীটি জন্ম নেয়ার পর তিনটি চিৎকার দেয়। তারপর তার মেয়ে এসে ঐ প্রাণীটিকে মেরে ফেলে। এবার ঐ বেয়াদব বলতে থাকে- এ জন্তুটিই আমার পেটের সব নাড়িভুড়ি কেটে খেয়ে ফেলেছে। এ ঘটনার তিনদিন পর লোকটি মারা যায়। এ ঘটনাটি বসরার ওলামা ও খতীব সাহেবগণ স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।**
No comments